13.02 চিত্রে দেখানো হয়েছে একটা p ধরনের সেমিকন্ডাক্টর এ ধরনের সেমিকন্ডাক্টরের সাথে যুক্ত করে তার সাথে একটা ব্যাটারি এমনভাবে যুক্ত করা হয়েছে, যেন ব্যাটারির পজিটিভ অংশটি যুদ্ধহয়েছে n এর সাথে এবং নেগেটিভ অংশটি যুক্ত হয়েছে p এর সাথে।
চিত্র 13.02 :n এবং p যুক্ত করে তৈরি করা ডায়োড। ব্যাটারি সেলের এক সংযোগে কন বিদ্যুৎ প্রবাহ হই না, অন্য সংযোগে বিদ্যুৎ প্রবাহ হয়
আমরা জেনেছি n ধরনের সেমিকন্ডাক্টরে বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য ইলেকট্রন থাকে, কাজেই ব্যাটারি সেলের পজিটিভ প্রান্ত খুব দ্রুত এই ইলেকট্রনগুলোকে নিজের কাছে টেনে নেবে। কাজেই n টাইপ সেমিকন্ডাক্টরে বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য কোনো ইলেকট্রন থাকবে না। এটা হয়ে যাবে বিদ্যুৎ অপরিবাহী। ঠিক একইভাবে ব্যাটারির নেগেটিভ প্রান্ত থেকে ইলেকট্রন হাজির হবে p টাইপ সেমিকন্ডাক্টরে এবং সবগুলো হোল একটা একটা ইলেকট্রন নিয়ে ভরাট হয়ে যাবে, কাজেই খুব দ্রুত দেখা যাবে বিদ্যুৎ প্রবাহ করার জন্য একটি হোলও অবশিষ্ট নেই, অর্থাৎ এই p সেমিকন্ডাক্টরটিও বিদ্যুৎ অপরিবাহী হয়ে যাবে। কাজেই ব্যাটারির সাথে এই np সেমিকন্ডাক্টরটি যুক্ত করা হলে এর ভেতর দিয়ে কোনো বিদ্যুৎই পরিবাহিত হবে না।
এবারে যদি np সেমিকন্ডাক্টরটিতে ব্যাটারি সেলের উল্টো সংযোগ দেওয়া হয় তাহলে কী হবে? অর্থাৎ ব্যাটারির পজিটিভ অংশ লাগানো হলো p ধরনের সেমিকন্ডাক্টরে এবং নেগেটিভ প্রান্ত লাগানো হলো এ ধরনের সেমিকন্ডাক্টরে। এবারে ব্যাটারির নেগেটিভ প্রান্ত থেকে ইলেকট্রন ঢুকে যাবে n টাইপ সেমিকন্ডাক্টরে এবং ইলেকট্রনগুলোকে np জাংশনের দিকে ঠেলে দেবে। ঠিক তেমনিভাবে ব্যাটারির পজিটিভ প্রান্ড p টাইপ সেমিকন্ডাক্টর থেকে ইলেকট্রন টেনে নিয়ে নতুন হোল তৈরি করতে থাকবে এবং সেই হোলগুলো ছুটে যাবে pa জাংশনের দিকে। সেখানে ইলেট্রনগুলো হোলগুলোকে ভরাট করতে থাকবে। ব্যাপারটা চলতেই থাকবে এবং কেউ যদি ব্যাটারির তারগুলোর দিকে তাকায় তাহলে দেখবে ব্যাটারির নেগেটিভ প্রান্ত থেকে ইলেকট্রন যাচ্ছে n এর দিকে এবং p থেকে ইলেকট্রন বের হয়ে ফিরে আসছে ব্যাটারির পজিটিভ প্রান্তে। সেটা চলতেই থাকবে এবং আমরা দেখব এই জাংশনের ভেতর দিয়ে চমৎকারভাবে বিদ্যুৎ প্রবাহ হচ্ছে। p এবং n ধরনের সেমিকন্ডাক্টর তৈরি এই জাংশনকে বলে ডায়োড। ডায়োড এমন একটি ইলেকট্রনিকস ডিভাইস, যেখানে ব্যাটারির এক ধরনের সংযোগে বিদ্যুৎ প্রবাহ হয় উল্টো সংযোগে হয় না।
ডায়োডের ব্যবহারের কোনো শেষ নেই। সাধারণ ডায়োড তো আছেই, সত্যি বলতে কি তোমরা সব সময় যে লাল নীল সবুজ হলুদ ছোট ছোট আলো দেখো সেগুলো সব LED বা Light Emitting Dlode। ডায়োডের আরো একটা মজার ব্যবহার হচ্ছে AC থেকে DC তৈরি করা। ডায়োড ব্যবহার করে এসি সিগন্যালের নেগেটিভ অংশ অপসারণ করে ফেলা যায়। 13.07 চিত্র দেখানো উপায়ে আমরা যদি ডায়োডের ভেতর AC ভোল্টেজ দিই অন্য পাশে নেগেটিভ অংশটুকু কেটে শুধু পজিটিভ অংশটুকু বের হয়ে আসবে।
Read more